Monday, November 16, 2020

পরিসংখ্যান সূত্র সমূহ

পরিসংখ্যান সূত্র সমূহ

STATISTICAL FUNCTION

পরিসংখ্যান সূত্র সমূহ :

ওয়ার্কশীটের বিভিন্ন সেল এ লিখিত সংখ্যা সমূহের যোগফল, গড়, মোট সংখ্যার সংখ্যা, সর্ববৃহৎ ও সর্বনিম্ন সংখ্যা নির্ণয় ছাড়াও পরিমিত ব্যবধান এবং ভেদাংক ইত্যাদি পরিসংখ্যানের কাজ করার জন্য কয়েকটি = ফাংশন রয়েছে। নিম্নে এ ফাংশনগুলো আলোচনা করা হলো : যেমন-
= SUM(List) অংকের এ সূত্রটি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের যোগফল নির্ণয় করা হয়। = SUM(List) এখানে List হচ্ছে ভেল্যু যা আমরা যোগ করতে চাই। এই List যদি একাধিক হয় তাহলে আর্গুমেন্ট পৃথককারী চিহ্ন কমা (,) ব্যবহার করতে হয়।
উদাহরণ :SUMনির্দেশিকাঃ সেল পয়েন্টার C8 এ রাখি।
=SUM(C2:C7) লিখে এন্টার দেই।
C8 ঘরে মোট যোগফল  3115 আসবে।
=MAX(List)  পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহ হতে Maximum অর্থাৎ সর্ববৃহৎ সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়।  MAX
নির্দেশিকাঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।নির্দেশিকাঃ
=MAX(B2:B5) লিখে এন্টার দেই।
রেঞ্জের সর্ববৃহৎ সংখ্যা 89423 আসবে।
আবার =MAX(SAL) লিখে এন্টার দিলে একই ফল দেখাবে।
=AVERAGE(List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহের গড় নির্ণয় করা হয়।MAXনির্দেশিকাঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।
=AVERAGE(B2:B5) লিখে এন্টার দেই।
রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের গড় বেরিয়ে আসবে।
=MIN(List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহ হতে সর্বনিম্ন সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।MAXনির্দেশিকাঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।
=MIN(B2:B5)  অথবা, =MIN(SAL) লিখে এন্টার দেই।
রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের সর্বনিম্ন সংখ্যাটি বেরিয়ে আসবে।
=COUNT(List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের  মোট সংখ্যা কত তা নির্ণয় করা হয়।MAXনির্দেশিকাঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।
=COUNT (C2:C7)  অথবা, =COUNT(SAL) লিখে এন্টার দেই।
রেঞ্জের মধ্যে মোট সংখ্যা (৬) আছে তা বেরিয়ে আসবে।
=VAR(List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা কোন সংখ্যা সমষ্ঠির ভেদাংক নির্ণয় করা হয়।MAXনির্দেশিকাঃ টেষ্ট স্কোর 500, 510, 550, 515, 505, 535 ইত্যাদি E কলামের E1:E8  রেঞ্জে সংখ্যা সমূহের ভেদাংক নির্ণয় করতে সেল পয়েন্টার E10 অথবা কোন ফাকা সেল- এ রাখি।
=VAR(E1:E8) লিখে এন্টার দেই। ভেদাংক 311.8055 বেরিয়ে আসবে।MAX=PV(present Value) পরিসংখ্যানের এ সূত্রটির সাহায্যে কোন বিণিয়োগের বর্তমান মূল্য বের করা যায়।
উদাহরণ : ধরা যাক কোন স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর গ্রহনের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ৫০০০০। ইচ্ছা করলে টাকাগুলো ব্যাংকে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক ১২% সুদ দেবে। এ টাকা এককালীণ গ্রহন না করলে ব্যাংক প্রতি বছর ১০,০০০টাকা করে ১০ বছর ধরে দেবে।
এখন নির্বাচন করতে হবে কোন পন্থাটি বেশী লাভজনক। দ্বিতীয় পন্থাটি লাভজনক হবে কিনা তা আমরা এই সূত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করবো।
PVসেল পয়েন্টার C4 সেলে রাখি।
=PV(.12,10,10000) লিখে এন্টার দেই।
C4 সেল এ 56502.23 টাকা আসবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে 50,000 টাকা মূলধন দ্বিতীয়শর্তের ভিত্তিতে খাটালে বেশী লাভজনক।
=SLN(Cost,Salvage,Life) সরলরৈখিক হারে বার্ষিক Deperciation/অবচয় বের করার সূত্র।
এখানে Cost= সম্পত্তির মূল্য, Salvage= ব্যবহার কাল শেষে অবশিষ্ট মূল্য, Life= ব্যবহার কাল। SVসেল পয়েন্টার C5 সেলে রাখি।
=SLN(C1,C2,C3) লিখে এন্টার দেই।
C5 সেল এ SLN Deperciation 14000 দেখাবে।

অর্থনৈতিক সূত্র :

=DB(Cost, Salvage, Life, Period, Month)

সূত্রের ব্যাখ্যা :

Cost = বস্তুটির ক্রয় মূল্য।
Salvage = নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বস্তুটির মূল্য(অবশেষ মূল্য)।
Life =  মেয়াদ কাল।
Period = যে বছরের জন্য অবচয় নির্ণয় করা হবে।
Month = মাস। এখানে মাস হচ্ছে ১ম বছরের মাস সংখ্যা। যদি মাস বাদ দেয়া হয় তাহলে সূত্র ১২ মাস ধরে নেবে।
উদাহরণ :
ধরা যাক কোন ফ্যাক্টরী একটি নতুন মেশিন ক্রয় করলো। মেশিনটির দাম ১০ লক্ষ টাকা এবং এর মেয়াদকাল বা লাইফ টাইম ৬ বছর। ৬ বছর পর মেশিনটির বিক্রয় মূল্য বা অবশেষ মূল্য এক লক্ষ টাকা। প্রতি বছর ব্যবহার জনিত অপচয় বা Depreciation জানা দরকার।
আমরা হয়তো সহজ গানিতিক পদ্ধতিতে মেশিনের দাম ১০লক্ষ মেয়াদ শেষে মূল্য ১ লক্ষ। অতএব মোট অপচয় ১০-১ = ৯ লক্ষ মোট অপচয়। অতএব বছরে অপচয় ৯ ভাগ ৬ = ১.৫ ল টাকা হিসেব করবো কিন্তু এক্ষেত্রে তা হবে না। প্রথম বছর অপচয় মূল্য বেশী হবে। ১০ লক্ষ টাকার মেশিন ১ বছর পর মূল্য হবে ৭ লক্ষ টাকা। তাহলে ১ম বছরের অপচয় ৩ লক্ষ টাকা। ২য় বছরে ৩লক্ষ টাকা না হয়ে আরও কম হবে।  এভাবে বছর যত বাড়বে অপচয় তত কমতে থাকবে। তাই কোন একটা মেয়াদ শেষে Depreciation কত হবে তা বের করা খুবই জটিল, কিন্তু এই সূত্রটি ব্যবহার করে তা সহজেই করা যায়।DS
=DB(C1,C2,C3,D2) লিখে এন্টার দেই।সেল পয়েন্টার E2 সেলে রাখি।
E2 সেল এ প্রথম বছরের অপচয় মূল্য আসবে।
E3 তে সেল পয়েন্টার এনে =DB(C1,C2,C3,D3) লিখে এন্টার দিলে বছরের Depreciation বের হবে। এভাবে E4, E5, E6 সেলে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বছরের Depreciation বের করা যায়।
যুক্তিগত সূত্র সমূহ (Logical Function)

=IF (Condition)
সূত্রের কতিপয় Condition লেখার ক্ষেত্রে যে সকল গাণিতিক অপারেটর বা চলক ব্যবহৃত হয় তা হলো-
=       সমান অর্থ প্রকাশ করে।
>       অপেক্ষাকৃত বড়।
<       অপেক্ষাকৃত ছোট।
>=     অপেক্ষাকৃত বড় বা সমান।
<=     অপেক্ষাকৃত ছোট বা সমান।
<>     অসমান।
এছাড়াও বিভিন্ন নির্দেশনায় AND, OR, NONE ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন-
যদি কোন কথার ভিতর নির্ধারিত অংশ/ সংখ্যা দেওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে AND বসবে(1-1000)
যদি কথার ভিতর নির্ধারিত অংশ/সংখ্যা না থাকে সেক্ষেত্রে OR(1000 বেশী/ কম)
একটি বাক্যে কিছু কথা শেষ করার পর যদি আরও কথা থাকে সেক্ষেত্রে , (কমা) বসে।
সূত্র লেখা শেষ হলে সূত্রের মধ্যে যতবার  IF লেখা ব্যবহার করা হবে ততবার বা ততটি বন্ধনী হবে।
 সূত্রের সাহায্যে স্কুলের রেজাল্ট শীট তৈরী ঃ
মনে করি, একটি স্কুলের নির্বাচনী পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে মোট নম্বরের উপর ভিত্তি করে রেজাল্টশীট তৈরী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৮০০ অথবা এর অধিক নম্বর পেলে A+, ৭০০ বা এর উপরে পেলে A,  ৬০০ বা এর উপরে পেলে A-, ৫০০ বা এর উপরে পেলে B, ৪০০ বা এর উপরে পেলে C, ৩৩০ বা এর উপরে পেলে D, ৩৩০ এর নীচে পেলে Fail বা F ধরা হয়েছে। =IF ফরমূলা ব্যবহার করে রেজাল্ট শীট তৈরী করতে হবে।RESULTসেল পয়েন্টার D2 সেলে রাখি।
=IF (C2>=800,’A+’, IF(C2>=700,’A’,IF(C2>=600,’A-‘,IF(C2>=500,’B’, IF (C2>=400,’C’,IF(C2>=330,’D’,’F’)))))) লিখে এন্টার দেই।
সূত্রের সাহায্যে SSC পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট শীট তৈরীঃ
মনেকরি একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে একটি রেজাল্টশীট তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাশ মার্ক থাকতে হবে এবং প্রতি বিষয়ে 80 এর অধিক নম্বর পেলে রেজাল্ট হবে A+ , 70-79 নম্বর পেলে A, 60-69 নম্বর  পেলে A-, 50-59 নম্বর  পেলে B, 40-49 নম্বর পেলে C,  33-39 নম্বর পেলে D,  আর ৩৩ নম্বরের নিচে পেলে ফেল বা F  হবে। চতুর্থ বিষয়ের নম্বর 40 এর বেশি হলে বেশি অংশ আনুপাতিক হারে প্রত্যেক বিষয় এর সাথে যোগ হবে। ফরমূলা ব্যবহার করে গ্রেড ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ রেজাল্টশীট তৈরি করতে হবে।
প্রথমে ১১টি বিষয় সস্বলিত নিম্নরূপ শীট তৈরি করতে হবে।R-1সেল পয়েন্টার N2  তে রাখি
=IF(M2>40,M2-40,0) Enter.
সেল পয়েন্টার O2  তে রাখি
=AVERAGE(C2:L2)+N2/10 Enter.
সেল পয়েন্টার P2  তে রাখি
=IF(OR(C2<33,D2<33,E2<33,F2<33,G2<33,H2<33,I2<33,J2<33,K2<33,L2<33),”Fail”,”Pass”)
সেল পয়েন্টার Q2  তে রাখি
= IF(AND(O2>= 80, P2=“Pass’’),’A+’, IF(AND(O2>=70,P2=`Pass’),’A’, IF(AND (O2>=60,       P2=`Pass’),’A-‘, IF(AND(O2>=50,P2=`Pass’),’B’, IF (AND (O2>=40, P2=`Pass’),’C’, IF(AND    (O2>=33,P2=`Pass’),’D’,’F’)))))) Enter.
সূত্রের সাহায্যে ফাইনাল পরীক্ষর রেজাল্ট শীট তৈরীঃ
মনে করি, একটি ডিগ্রী কলেজের BSC পরীক্ষর ফলাফল গ্রেড পদ্ধতিতে তৈরী করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজী, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে পাশ করতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে ৩৩ এর নিচে নম্বর পেলে তাকে অকৃতকার্য ধরতে হবে।
আবার প্রত্যেক পরীার্থী মোট নম্বর ১৬৫এর কম পেলে তাকে অকৃতকার্য বা F ধরতে হবে। ১৬৫ অথবা এর বেশী কিন্তু ২০০ এর কম হলে D, ২০০ অথবা এর বেশী কিন্তু ২৫০ এর কম পেলে C, ২৫০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৩০০ এর কম পেলে B, ৩০০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৩৫০ এর কম পেলে  A-, ৩৫০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৪০০ এর কম পেলে A,  ৪০০ অথবা এর বেশী পেলে A+ হবে।
বর্ণিত ডিগ্রী কলেজটির ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর এর ওয়ার্কশীট তৈরী করি।R-2
সেল পয়েন্টার I2 সেলে রাখি।   =IF(OR(C2<33,D2<33,E2<33,F2<33,G2<33),`F’,IF(AND(H2>0,H2<165),`F’, IF(AND(H2>=165, H2<200),`D’,IF(AND(H2>=200,H2<250),`C’, IF(AND(H2>=250,H2<300),`B’, IF(AND(H2>=300,H2<350),`A-‘ IF(AND(H2>=350,H2<400),`A’,`A+’))))))) সূত্রটি লিখে এন্টার দেই।
 Tax নির্ণয় ঃ 
শর্ত ঃ যদি বেতন ৫০০০ থেকে ১০০০০ এর মধ্যে হয় তাহলে ২% ট্যাক্স, ১০০০০ এর উপরে হলে ৫% ট্যাক্স ধার্য হবে।
নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি ঃTAXসেল পয়েন্টার C2 সেলে রাখি।
=IF(AND(B2>5000, B2<10000), B2*.02,IF(B2>10000,B2*.05,”NONE”)) লিখে এন্টার দিলে কাঙ্খিত ফলাফল চলে আসবে। তারপর স্ক্রল করে প্রত্যেক ফিল্ডে ফলাফল আনতে হবে।
কমিশন নির্ণয়ঃ
ধরা যাক কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরী পণ্য বিক্রয় করার জন্য কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করলো। প্রতিনিধিদের মাসিক বেতন এভাবে ধার্য করা হলো যে, মোট বিক্রয়ের পরিমান যদি খরচ বাদে ৮০,০০০ টাকা হয় তাহলে বিক্রয়ের শতকরা ১০ভাগ বেতন পাবে, আবার বিক্রয় যদি খরচ বাদে ১,০০,০০০ টাকার কম হয় তাহলে বিক্রয়ের শতকরা ১১ ভাগ বেতন পাবে।
এরূপ সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নরূপ একটি ওয়ার্কশীট তৈরী করি এবং =IF সূত্র ব্যবহার করে সমাধান করি।COMMIনির্দেশিকাঃ
সেল পয়েন্টার D2 সেলে রাখি।
=IF(OR(B2-C2<80000,B2<100000),B2*.10,B2*.11) এন্টার দিলে কাঙ্খিত হিসাবটি পাওয়া যাবে।
মজুরী নির্ণয়ঃ
মনে করি, আকিজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তার কর্মচারীদের প্রতি ঘন্টা হিসেবে মজুরী প্রদান করে। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা বা তার চেয়ে কম সময়ের জন্য প্রতি ঘন্টা মজুরী ১৫ টাকা। আর্থাৎ কোন শ্রমিক কর্মচারী ৮ ঘন্টা কাজ করলে সে পাবে ১৫´৮=১২০ টাকা। আবার ৮ ঘন্টার কম অর্থাৎ ৬ ঘন্টা কাজ করলে পাবে ১৫´৬ = ৯০টাকা। পক্ষান্তরে ৮ ঘন্টার বেশী কাজ করলে অতিরিক্ত প্রতি ঘন্টার জন্য মজুরী পাবে ২০টাকা। অর্থাৎ কেহ ১২ ঘন্টা কাজ করলে মজুরী পাবে ১৫´৮=১২০, ২০´৪=৮০, ১২ ঘন্টার মজুরী হবে ১২০+৮০=২০০টাকা। প্রতিষ্ঠানের একটি Wage Sheet তৈরী করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র কর্মঘন্টা দেয়া মাত্র ওভার টাইম ও মোট মজুরী বের হবে।
নির্দেশিকাঃ  নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।WEGসেল পয়েন্টার D5 সেলে এনে =IF(C5>8,C5-8,0) এন্টার ।
সেল পয়েন্টার E5 সেলে এনে =IF(D5>0,D5*20+8*15,C5*15) এন্টার ।
D5:E10 সিলেক্ট করে সেল পয়েন্টার D2 তে রেখে Shift চেপে ধরে E2 তে আসি। Fill Handel এ ক্লিক করে ড্রাগ করে নিচের দিকে E10 এ এনে এন্টার দিতে হবে।
C5 সেলে 8 টাইপ করি। এভাবে C6 সেলে 11 টাইপ করি। C7 সেলে 7 টাইপ করি। C8 সেলে 13 টাইপ করি। C9 সেলে 9 টাইপ করি। C10 সেলে 15 টাইপ করি। ফলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওভার টাইমসহ মজুরী নির্ণয় হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ বিল তৈরীঃ
বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল ধার্য করার জন্য সাধারণত: তাদের নির্ধারিত রীতি প্রয়োগ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে তাদের প্রবর্তিত রীতি হলো বিদ্যুৎ খরচ যদি ১ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ১.৭৫ টাকা, ২০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ২.৫০ টাকা, ৪০১ থেকে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত ৩.৭৫ টাকা এবং তার উপরে হলে প্রতি ইউনিট ৪.৫০ টাকা করে ধার্য করে বিদ্যুৎ বিল নির্ধারিত করে।
এ ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করে =IF ফাংশন ব্যবহার করলে সমাধান মিলবে।
নির্দেশিকাঃ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।Currentসেল পয়েন্টার  D2 সেলে রাখি।
=IF(C2<=200,C2*1.75,IF(C2<=400,C2*2.50,IF(C2<=500,C2*3.75,C2*4.50))) এন্টার ।
D2 এর Fill Handel ড্রাগ করে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের হিসাব পওয়া যাবে।
Salary Sheet তৈরী ঃ
মনেকরি মেসার্স জামান এন্ড কোং এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন শীট নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরী করতে হবে এবং মোট বেতন নির্ণয় করতে হবে।
House Rent Basic এর ৫০%, Medical Allowance, Basic এর ১০%, Provident Fund Basic এর ১০%, Income Tax Basic ২০০০ এর নীচে হলে ০, ২০০০-৫০০০ পর্যন্ত ৫% এবং ৫০০০ টাকার উর্ধে ১০% ।
নির্দেশিকাঃ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।SALARYD2 সেলে=C2*50%, E2 সেলে=C2*10%, F2 সেলে=C2*10% টাইপ করতে হবে।
G2 সেলে কার্সর এনে নিম্নের সূত্রটি টাইপ করতে হবে।
=IF(C2<2000,0,IF(AND(C2>2000,C2<=5000),C2*5%,IF(C2>5000,C2*10%))) এন্টার ।
H2 সেলে =C2+D2+E2-(F2+G2) টাইপ করতে হবে।
D2:H2 সিলেক্ট করে H10 পর্যন্ত Fill Handel ড্রাগ করে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের হিসাব পওয়া যাবে।
Data কি ?
ডেটা বা উপাত্ত বলতে সাধারণত: কোন তথ্য বা Information কে বুঝায়। এই তথ্য বা ইনফরমেশন বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, আমাদের ব্যক্তিগত টেলিফোন গাইড বা ডায়েরীতে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে থাকি। এই তথ্য বা ইনফরমেশনগুলোই হলো ডেটা।
Data base কি ?
পরষ্পর ম্পর্কযুক্ত তথ্যের সমাহারকে তথ্য ঘাঁটি বা ডেটা বেজ বলা হয়। বেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাঁটি বা ধারক বা ভিত্তি। Flower base অর্থ ফুলদানী। অনেক ফুলকে সুসজ্জিত ভাবে যেমন ফুলদানীতে রাখা হয় তেমনী ডেটাকে সুসংগঠিত করে রাখার ব্যবস্থাপনা বা ঘাঁটিকে Data base বা উপাত্ত ঘাঁটি বলা হয়।
Data Table তৈরী ঃ
ধরা যাক, কোন ব্যাংক থেকে ৫% সুদে ১০০০০ টাকা ঋণ গ্রহন করা হলো।
১০০০০ টাকার ৫ বছরে ৫% সুদে সুদাসল কত হবে ?
সুদের হার পরিবর্তন হয়ে ১০%, ১২%, ১৫%, ১৭%, ২০% হলে সুদাসল কত হবে ?
সুদের হার এবং আসল যদি(৫০০০০ টাকা বা ৮০০০০টাকা)পরিবর্তন হয় তাহলে সুদাসল কত হবে ? এ সব সমস্যার সমাধানগুলো ডেটা টেবিলের মাধ্যমে করতে হবে
নির্দেশিকাঃ পদ্ধতি -১ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।DATA-1A3 সেলে লেখাটি ধরানোর জন্য Format>Column>Width.. নির্দেশ দিয়ে 12 লিখে এন্টার দিয়ে A কলামের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করে নিতে হবে।
সেল পয়েন্টার B4 সেলে রেখে =+B1*B2*B3+B1 লিখে এন্টার দিতে হবে।
এরপর A4 থেকে B9 সিলেক্ট করে Data >Table ক্লিক করতে হবে। ফলে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
ডায়ালগ বক্সের Column input Cell এ ক্লিক করে B2 সেলে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডায়ালগ বক্স থেকে ওকে বার্টন ক্লিক করলে কাঙ্খিত ফলাফল চলে আসবে।
নির্দেশিকাঃ পদ্ধতি – ২ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।DATA-2সেল পয়েন্টার A4 সেলে রেখে =+B1*B2*B3+B1 লিখে এন্টার দিতে হবে।
B4 সেলে 10000, C4 সেলে 50000,  D4 সেলে 80000 টাইপ করি।
এরপর A4 থেকে D9 সিলেক্ট করে Data >Table ক্লিক করতে হবে। ফলে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
ডায়ালগ বক্সের Row input Cell এ কিক করে E1 সেলে কিক করতে হবে।
ডায়ালগ বক্সের Column input Cell এ ক্লিক করে B2 সেলে কিক করতে হবে। এরপর ডায়ালগ বক্স থেকে ওকে বার্টন কিক করলে কাঙ্খিত ফলাফল চলে আসবে। নিম্নরূপ-DATA RESULT 
Goal Seek:
ধরা যাক বাড়ি ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করতে হবে। ব্যাংক ১টি শর্তে ঋণ দিতে চায় বছরে ৯টাকা হার সুদে ৩০ বছরে মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ পদ্ধতিতে নিজের পারগতার উপর অর্থাৎ মাসে কত টাকা জমা দিতে পারবো সেই অনুপাতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করলে ঋণ সময় মতো পরিশোধ করা যাবে। তাই যদি মাসে ৯০০০ টাকা হারে জমা দেওয়ার পারগতা থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে তা গোলচেকের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা করে নিতে পারি।
তাহলে সুদের হার ৯%, সময়কাল ৩০ বছর, মাসিক কিস্তি ৯০০০ টাকা, ঋণের পরিমান ?
ধরা যাক ঋণের পরিমান আনুমানিক ৯,০০,০০০ টাকা ( সঠিক হিসাবটা আমাদের বের করতে হবে।
করণীয়ঃFILTER
সেল পয়েন্টার সেলে রেখে =PMT(B2/12,B3*12,B1)  লিখে এন্টার দেই। ফলে এখানে রেজাল্ট আসবে ৭২৪১.৬০ টাকা। কিন্তু আমরা দিতে পারি ৯,০০০ টাকা। তাহলে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে জানতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। যেমন- সেল পয়েন্টার B5 সেলে ফলাফল সিলেক্ট করে টুলস মেনু থেকে কমান্ড দিয়ে ডায়ালগ বক্সের প্রথম সেলে পয়েন্টার রেখে B1 সেলে ক্লিক করতে হবে। পুণরায় ডায়ালগ বক্সের মাঝের সেলে পয়েন্টার নিয়ে কত পরিশোধ করতে পারি তা লিখতে হবে। তাহলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাবে।
Data Auto Filter =DATA-Fনির্দেশিকা ঃ
ডেটা বেজের যে কোন সেলে পয়েন্টার রাখি। এরপর Data মেনুতে কিক করে অথবা কীবোড Alt+D চাপি।
এরপর Filter এ ক্লিক করে Auto Filter এ ক্লিক করলে অথবা দুইবার চাপলেও কাজটি হয়ে যাবে।


Wednesday, December 4, 2019

এম.এস একসেস পরিচিতি ও ব্যবহার - Microsoft Access Tutorial

 এম.এস একসেস পরিচিতি ও ব্যবহার   
Data Base Management (M.S Access)

(এম.এস একসেস)

ডেটা বা উপাত্ত কি ?

কোন বিষয় বা জিনিষের নামকেই সাধারণ ভাবে ডেটা বা উপাত্ত বলে। যেমন: অবস্থা, সময়, পরিমমাণ, মূল্য ইত্যাদি নির্দেশক বিভিন্ন শব্দ বা সংখ্যা ডেটার উদাহরণ। ডেটা একটি বহুবচন শব্দ, যার একবচন ডেটাম।

তথ্য বা ইনমরমেশন কি ?

সংগৃহীত ডেটা বা উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের পর প্রয়োজন মত সাজানো বা অর্থপূর্ণ অবস্থাকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলা হয়।


ডেটা সংগঠন কি ?

কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকণের উপযোগী ডেটা বা উপাত্তের বিশেষ সংগঠনকে ডেটা সংগঠন বা ডেটা ষ্ট্রাকচার বলা হয়। ক্যারেক্টর বা অক্ষর, ফিল্ড বা ক্ষেত্র রেকর্ড, ফাইল,ডেটাবেস প্রভৃতি ডেটা সংগঠনের অংশ।

ফিল্ড, রেকর্ড ও ফাইল কি ?

ফিল্ডঃ 
 ডেটা সংগঠনে কয়েকটি ক্যারেক্টর বা (বর্ণ,অংক, ইত্যাদি) নিয়ে গঠিত একটি আইটেমকে ফিল্ড বলা হয়। উদাহরণঃ Masud, Meena, Phone: 01736360897 ইত্যাদি।

রেকর্ডঃ পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ফিল্ড নিয়ে একটি রেকর্ড গঠিত হয়। যেমন: একজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার নাম, রোল নং, প্রাপ্ত নম্বর ইত্যাদি সমন্বয়ে একটি রেকর্ড গঠিত হয়।

ফাইলঃ 
 পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো রেকর্ডের সুসংবদ্ধ সমন্বয়কে ডেটা ফাইল বলে। যেমন: শিক্ষকদের বেতন ও সম্মানী প্রদানের রেকর্ড নিয়ে বেতন প্রদানের ফাইল তৈরী হয়।

ডেটাবেস কি ?

ডেটাবেস বলতে ডেটা ভান্ডার বা ডেটা সম্ভারকে বুঝায়। সাধারণত: পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো ডেটা ফাইল নিয়ে একটি ডেটাবেস গঠিত হয়। উদাহরণ: কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল সংরক্ষনের ফাইল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের ফাইল, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে ফাইল প্রভৃতি সমন্বয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেস হতে পারে।

ডেটাবেসে ডেটা বা উপাত্তগুলো সাধারণত: সারি বা কলাম সমন্বয়ে গঠিত টেবিল আকারে সুসজ্জিত থাকে। যা থেকে নির্দিষ্ট কোন উপাত্ত অতি দ্রুত ও সহজে সনাক্ত করা যায়, প্রয়োজনীয় উপাত্তগুলো পছন্দের আঙ্গিকে সাজানো যায় বা পরিবর্তন করা যায় এবং চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরী করা যায়।

ডেটাবেস প্যাকেজ কি ?

ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত প্যাকেজ প্রোগ্রামকে ডেটাবেস প্যাকেজ বলা হয়। বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি ডেটাবেস প্যাকেজ প্রোগ্রাম হলো- dBase, FoxBase, Foxpro, Access, Oracle ইত্যাদি।

একসেস কি ধরণের প্রোগ্রাম ?

মাইক্রোসফট একসেস একটি উইন্ডোজ ভিত্তিক শক্তিশালী রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম বা প্রোগ্রাম। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকলেও মাইক্রোসফট একসেস নিয়ে খুব সহজেই শক্তিশালী আকর্ষনীয় এপ্লিকেশন তৈরী করা যায়। একটি একসেস ডেটাবেসে এক বা একাধিক টেবিল ছাড়াও কোয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট, ম্যাক্রো, মডিউল ইত্যাদি থাকতে পারে। বর্তমানে একসেস ডেটাবেস একটি সর্বজনীন ডেটাবেস প্রোগ্রাম হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

 একসেস ডেটাবেসের উপাদান কি কি ?

ডেটা টেবিল হলো যে কোন ডেটাবেসের অন্যতম প্রধান উপাদান। অন্যান্য ডেটাবেস প্রোগ্রামে উপাত্ত সমূহ একটি একক টেবিল আকারে সংরক্ষিত থাকে কিন্তু একটি এবসেস ডেটাবেসে এক বা একাধিক টেবিল ছাড়াও কোয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট, ম্যাক্রো, মডিউল ইত্যাদি থাকতে পারে।

কোয়েরি কি ?

কোন ডেটা টেবিলে অসংখ্য ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাকে প্রদর্শনের সহজ ও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থাই হলো কোয়েরি। কোয়েরির সাহায্যে নির্দিষ্ট ফিল্ডের ডেটা নির্দিষ্ট শর্তানুসারে প্রদর্শস করা এবং তা ছাপিয়ে উপস্থাপন করা যায়। কোয়েরি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যেমন : সিলেক্ট কোয়েরি, প্যারামিটার কোয়েরি, ক্রশট্যাব কোয়েরি, একশন কোয়েরি এবং এসকিউএল কোয়েরি ইত্যাদি।

ফর্ম কি ?

ডেটাবেস প্রক্রিয়াকৃত বা চূড়ান্তভাবে মনোনীত ডেটা প্রদর্শন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমকে ফর্ম বলে। সাধারণত ফর্মের মাধ্যমেই ডেটাকে উপস্থাপন করা হয়। ডেটা টেবিলের ন্যায় ফর্মেও ডেটা এন্ট্রি করা যায়। এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন মত ফর্ম ডিজাইন করে নিতে হয়। ফর্মে গ্রাফিক্স, চিত্র ও টেক্সটের সমন্বয় করা যায়।

রিপোর্ট কি ?

ডেটা টেবিলে ডেটা বিভিন্ন ভাবে সাজানো থাকে। ডেটাবেস থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা সমূহ প্রতিবেদন আকারে প্রদর্শনের ব্যবস্থাকে রিপোর্ট বলে। ডেটা টেবিলের ডেটা সরাসরি প্রিন্ট না করে রিপোর্ট তৈরী করে অপেক্ষাকৃত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায়।

রিপোর্ট আবার কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ-

১। ডিটেইল রিপোর্ট।   ২। সামারী রিপোর্ট।   ৩। ক্রশ-ট্যাবুলেশন রিপোর্ট।

৪। রিপোর্ট উইথ গ্রাফিক্স এন্ড চার্ট।  ৫। রিপোর্ট উইথ ফর্মস। ৬। রিপোর্ট উইথ লেবেল।

পেজ কি ?

ইন্টারনেটে মাইক্রোসফট একসেস বা SQL সার্ভারে সংরক্ষিত ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য ডেটাবেস একসেস পেজ তৈরী করা যায়। ডেটাবেস একসেস পেজ-এ ট্যাবের আওতায় সংরক্ষিত থাকে। একসেস পেজ মাইক্রোসফট একসেল বা এ জাতীয় অন্যান্য উৎসের ডেটা নিয়েও কাজ করা যায়।

ম্যাক্রো কি ?

ম্যাক্রো হচ্ছে এক ধরণের ছোট প্রোগ্রাম। এ ট্যাবে কিক করলে বর্তমান ডেটাবেসের সকল ম্যাক্রো প্রোগ্রামগুলোর তালিকা দেখা যায়। এখান থেকে কোন ম্যাক্রো সংশোধন বা নতুন ম্যাক্রো তৈরী করা যায়।

মাইক্রোসফট একসেস লে-আউট উইন্ডোর পরিচিতি ।

কম্পিউটার চালু হওয়ার পর Start > Programs/All Programs > Microsoft Access > Enter বার্টন/কী চাপলে অথবা মাউসের দ্বারা  Microsoft Access এর উপর ক্লিক করলে মাইক্রোসফট একসেস প্রোগ্রামটি পর্দায় সচল হয়।

Microsoft Access এর লে-আউট উইন্ডেতে টাইটেল বার, মেনু বার, ডাটাবেস টুলবার, ষ্ট্যাটাস বার, টাস্ক বার ইত্যাদি থাকে।

টাইটেল বারঃ  উইন্ডোর শীর্র্ষদেশে মাইক্রোসফট একসেস লেখা লাইন বা বারকেই টাইটেল বার বলে।

মেনুবারঃ 
 টাইটেল বারের নীচে File, Edit, View, Insert, Tool, Window, Help  লেখা লাইন বা বারকে মেনুবার বলে।

টুলবারঃ সাধারণত :
 টাইটেল বারের নীচে বিভিন্ন আইকন বা চিত্র সম্বলিত বারকেই টুলবার বলে। মাইক্রোসফট একসেসে বিভিন্ন টুলবার রয়েছে। তন্মধ্যে ডেটাবেস টুলবারটি ডিফল্ট হিসেবে সেট করা থাকে। টুলবার উইন্ডো থেকে যে কোন টুলবারকে এক্টিভ উইন্ডোতে হিড বা ডিসপ্লে করানো যায়।

ষ্ট্যাটাস বারঃ 
 উইন্ডোর নীচে ষ্টার্ট-আপ বা টাস্ক বারের উপরে যেখানে Ready (রেডি) লেখা থাকে তাকে ষ্ট্যাটাস বার বলে। এই বারে সর্বদা বিশেষ তথ্য প্রদর্শন করে।

কন্ট্রোল মেনুঃ 
 টাইটেল বারের শুরুতে চাবি চিহ্নিত বক্সে মাউসের ক্লিক করলে একটি মেনু প্রদর্শিত হয়। একে কন্ট্রোল মেনু বলে।

কোজঃ
  টাইটেল বারের ডান পাশে ক্রস () চিহ্নিত বার্টনকে কোজ বর্টন বলে। এই বার্টনে কিক করে চলমান উইন্ডো থেকে বের হওয়া যায়।

মিনিমাইজঃ
   টাইটেল বারের ডান পাশে বিয়োগ (-)চিহ্নিত বার্টনকে মিনিমাইজ বার্টন বলে। উইন্ডোকে বড় থেকে ছোট করার জন্য এ বার্টনে কিক করতে হয়।

ম্যাক্সিমাইজঃ
   টাইটেল বারের ডান পাশে বর্গাকার () চিহ্নিত বার্টনকে ম্যাক্সিমাইজ বার্টন বলে। উইন্ডোকে ছোট থেকে বড় করার জন্য এ বার্টনে কিক করতে হয়।

মাইক্রোসফট একসেস-এ একটি নতুন ডেটাবেস টেবিল তৈরী করার পদ্ধতি কি ?

মাইক্রোসফট একসেসে দুই ভাবে টেবিল তৈরী করা যায়। টেবিল উইজার্ড (Table wizard) ডিজাইন ভিউ (Design view) থেকে।

টেবিল উইজার্ড- এ টেবিল তৈরী করার পদ্ধতিঃ

ডেটাবেজ উইন্ডো থেকে Create Table by using Wizard- এ ডবল কিক করলে টেবিল উইজার্ড বক্স আসবে।

উইজর্ডের বাম দিকে Sample Table লেখা অংশে বিভিন্ন টেবিলের নাম থেকে প্রয়োজন মত টেবিল নির্বাচন করতে হবে। এটা নির্বাচন করা হলে উইজার্ডের মাঝের অংশে এটির ফিল্ড সমূহ প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে পছন্দ মত ফিল্ড নির্বাচন করলে তা উইজার্ডের ডান পাশে প্রদর্শিত হয় এবং নতুন টেবিলের ফিল্ড নাম হিসেবে বিবেচিত হয়।

ফিল্ড নির্বাচন করাঃ ফিল্ড নির্বাচিত করা হলে নির্বাচিত ফিল্ড সমূহ Field in my new table বক্সের মধ্যে প্রদর্শিত হবে।

             .>   চিহ্নিত বোতাম কিক করে একটি ফিল্ড নির্বাচন করা যায়।

            .>>  চিহ্নিত বোতাম কিক করে সকল ফিল্ড একসাথে নির্বাচন করা যায়।

            .<    চিহ্নিত বোতাম কিক করে একটি ফিল্ড বাতিল করা যায়।

            .<<  চিহ্নিত বোতাম কিক করে সকল  ফিল্ড বতিল করা যায়।

উইজার্ডের বাম অংশ থেকে Student নির্বাচন করে মাঝের অংশে যথাক্রমে StudentID, First Name, Address, City, Student Number ফিল্ডগুলোতে ডবল কিক করে তা নির্বাচিত করে Finish বার্টনে কিক করলে Student নামে একটি টেবিল তৈরী হবে।

ডিজাইন ভিউ- এ টেবিল তৈরী করার পদ্ধতিঃ

ডেটাবেস উইন্ডো থেকে টেবিল ট্যাব নির্বাচন করে এ ডবল ক্লিক করলে ডিজাইন ভিউ আসবে।

ফিল্ড নেম কলামের প্রথম রো হতে পর্যায়ক্রমে StudentID, First Name, Address, City, Student Number ইত্যাদি লিখতে হবে। Data Type হিসেবে Text নির্বাচন করতে হবে।

টেবিল Save করার জন্য ফাইল মেনু থেকে Save অপশনে কিক করলে  Save As ডায়ালগ বক্স আসবে টেবিলের নাম লিখে Ok বার্টনে ক্লিক করলে সেভ হবে। এবার ফাইল মেনু থেকে Close অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর ফাইলটি অর্থাৎ তৈরি করা টেবিলটি ওপেন করে প্রয়োজনীয় ডাটা এন্ট্রি করলেই ডিজাই ভিউ-এ একটি ডাটা টেবিল তৈরি হলো।

Friday, November 2, 2018

মাইক্রোসফট এক্সেল টিউটোরিয়াল - M.S. Excel Tutorial

মাইক্রোসফট এক্সেল/ M.S. Excel:
এক্সেল (Excel) কি ?
Excel শব্দের আভিধানিক অর্থ শ্রেষ্ঠতর হওয়া। গুণ, কৃতিত্ব প্রভৃতি বিবেচনায় শ্রেষ্ঠতর বা উৎকৃষ্টতর হওয়া। বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরী ও বাজারজাতকৃত এ প্রোগ্রামটি এক সাথে অনেক সমস্যা সামাধানে অন্যান্য অনেক প্রোগ্রামের থেকে শ্রেষ্ঠতর। তাই এর নামটি যথার্থ হয়েছে। উইন্ডোজ ভিত্তিক এ  Application প্রোগ্রামটির সাহায্যে জটিল গাণিতিক পরিগণনা, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনায় নিখুঁত ভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরী করা ইত্যাদি ছাড়াও আরও অনেক জটিল কাজকে সহজে সমাপন করা যায়। এক্সেলের সুবিশাল পৃষ্ঠাটি কলাম ও সারিভিত্তিক সেলে বিভক্ত হওয়ায় এতে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশ করে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় বলে একে স্প্রেডশীট এনালিসিস প্রোগ্রাম বলা হয়।
এক্সেল (EXCEL) দিয়ে আমরা কি করতে পারি ?
একটি সাধারন খাতায় পেন/পেন্সিল, রাবার এবং ক্যালকুলেটর মেশিন দিয়ে যে যে কাজ করা যায় এক্সেলের বিরাট পৃষ্টায় আমরা তার চেয়েও অনেক বেশী এবং জটিল কাজ সম্পন্ন করতে পরি।
দৈনন্দিন হিসাব সংরণ ও বিশ্লেষণ করতে পারি।
বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে পারি।
বাজেট প্রণয়ন করতে পারি।
ব্যাংক ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ করতে পারি।
উৎপাদন ব্যবস্থাপনার কাজ করতে পারি।
আয়কর ও অন্যান্য হিসাব নিকাশ তৈরী করতে পারি।
বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেশণ করতে পারি।
বেতন হিসাব তৈরী করতে পারি



এক্সেল (Excel) প্রোগ্রাম রান করার নিয়ম :
প্রথমে কম্পিউটারের সকল সংযোগ কেবলগুলো ঠিকমত লাগানো আছে কিনা পরীক্ষা করে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করে কম্পিউটার ওপেন করতে হবে। তারপর উইন্ডোজ এর Start মেনুতে ক্লিক করে Program/All Program এ ক্লিক করে Ms Excel এ ক্লিক করতে হবে। এবার Spreadsheet ওপেন হবে। এছাড়াও কীবোর্ড কমান্ড তৈরী করে বা শটকাট মেনু থেকেও এক্সেল রান করানো যায়।
এক্সেল ((EXCEL)) এর Windows পরিচিতি:
Default setting অনুসারে Excel Window তে Scroll Bar, Title Bar, 300mBoxes, Menu Bar এবং অন্যান্য Elements দেখা যায়। এগুলো সম্পর্কে ইউজারদের ধারনা থাকা একান্ত আবশ্যক। Excel প্রোগ্রামে সর্বমোট ৬৫,৫৩৬টি রো এবং ২৫৬টি কলাম আছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে- রো কি বা কাকে বলে? রো কে সারি বলা হয়। Excel প্রোগ্রামে সর্বমোট ৬৫,৫৩৬টি রো বা সারি আছে। এগুলো ১.২.৩.৪.৫…….. এভাবে সাজানো আছে। কলাম হলো ওয়ার্কশীটের উপরে A,B,C,D………… এভাবে সাজানো ২৫৬টি কলাম। Excel Window তে আয়তক্ষেত্রের মত দেখতে প্রতিটি বক্সকে এক একটি সেল বলে। Spreadsheet সর্বমোট ১৬৭,৭৭,২১৬ টি সেল আছে।
এক্সেল (Excel) এর Spreadsheet কি ?
স্প্রেডশীট শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। এখানে Spread শব্দের অর্থ ছড়ানো আর sheet শব্দের অর্থ পাতা। একসঙ্গে Spreadsheet অর্থ ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সম্বলিত বড় শীটকে স্প্রেডশীড বলে।
এক্সেল (Excel) এর Worksheet কি ?
এক্সের সুবিশাল পাতার যে অংশে কাজ করা হয় তাকে Worksheet বলে। মূলত: স্প্রেডশীটই হলো Worksheet একটি খাতায় যেমন অনেকগুলো পাতায় লেখা যায়, এক্সেলেও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশীট খুলে তাতে কাজ করা যায়।
Work Book কি ?
এক্সেলের স্প্রেডশীটে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশ করে তা বিশ্লেষণ বা পরিগণনার করা হয়। কাজ করার পর ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য কোন নামে সংরক্ষণ করা যায়। সংরক্ষিত স্প্রেডশীটকে ফাইল বা ওয়ার্কবুক বলে।
Cell কি ?
এক্সেলের ওয়ার্কশীটটি সারি ও কলাম ভিত্তিক। উপরে A, B, C, D……….. ইত্যাদি হলো বিভিন্ন কলামের নাম এবং বাম পাশের 1,2,3,4,5………..ইত্যাদি হলো সারি সংখ্যা। সারি ও কলামের পরষ্পর ছেদে তৈরীকৃত ছোট ছোট আয়তকার ঘরকে সেল বলা হয়।
Title bar কি ?
Excel Windows এর শীর্ষদেশে Microsoft Excel-Book 1 লেখা বারটিকে Title bar (টাইটেল বার) বলে। সেভ করা কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট ওপেন করলে এই বারে সেভ করা ফাইলের নামটি প্রদর্শিত হয়। এর ডান পাশে মিনিমাইজ, ম্যাক্সিমাইজ ও কোজ বার্টন থাকে। এর কাজসমূহ আমরা মাইক্রোসফট  ডকুমেন্ট অধ্যায়ে জেনেছি।
Menu bar কি ?
টাইটেল বারের নীচে File, Edit, Vew, Insart, Format, Data, Window, Help  ইত্যাদি লেখা বারকে Menu bar বলে। Menu bar এর প্রত্যেকটি অপশনই এক একটা মেনু। এই মেনুগুলোর নীচে আন্ডার লাইন করা অক্ষর গুলো দিয়ে কীবোর্ড কমান্ড করে ঐ মেনু ওপেন করা যায়। যেমন Alt+F কমান্ড দিয়ে ফাইল মেনু ওপেন করা যায়।
Tool bar কি ?
মেনু বারের নীচে বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত বারকে টুলবার বলে। প্রত্যেকটি প্রতীকের বার্টনকে আইকন বা টুল বার্টন বলা হয়। মেনু সিলেক্ট করে কোন কমান্ড দেওয়ার চেয়ে এই টুল ব্যবহার করে খুব দ্রুত কার্য সম্পন্ন করা যায়।
Formatting bar কি ?
টুলবারের নীচের সারিতে বিদ্যমান বারটি-ই হলো ফর্মেটিং টুলবার। এতে বিদ্যমান বার্টনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করে ফন্ট পরিবর্তন, ফন্টের সাইজ ছোট-বড়, লেখাকে বোল্ড, আন্ডার লাইন, ইটালিক করা, লেখা এ্যালাইনমেন্ট করা, আউটলাইন দেয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
Formula bar কি ?
ফর্মেটিং টুলবারের নীচে লম্বা দু’টি অংশে বিভক্ত বারটিকে ফর্মূলা বার বলা হয়। ফর্মূলা বারের বাম পাশের অংশ যেখানে সেল এড্রেস প্রদর্শিত হয় সে অংশকে Name Box  বলা হয়। মাইসের পয়েন্টার বা কার্সর যে সেল এ রাখা হবে Name Box -এ সেই সেলের এড্রেস প্রদর্শিত হবে। Name Box এর ডান পাশেই Formula Box, এই বক্সে ফর্মূলা প্রদর্শিত হয়।
Vertical and Horizontal Scroll bar কি ?
এক্সেলের অনেক বড় ডকুমেন্টে কাজ করার সময় পর্দায় সব দেখা যায় না। প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত ডকুমেন্ট এর যে কোন জায়গায় গিয়ে পর্দায় প্রদর্শন করার সুবিধার্থে পর্দার ডানদিকে ভার্টিকেল স্ক্রলবার এবং পর্দার নীচে হরিজন্টাল স্ক্রলবার আছে। এই স্ক্রলবার দু’টোর ডানে ও বামে দু’টো এরো বার্টন আছে। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে এই এরো বার্টন এ ক্লিক করে অথবা স্ক্রল করে উপর নীচে ইচ্ছামত দেখা যায় বা যাওয়া যায়।
Status bar কি ?
ওয়ার্কবুক উইন্ডোর সর্বনিম্নে টাস্ক বারের উপরের বারকে স্টেটাস বার বলা হয়। এতে ডকুমেন্টের স্টেটাস বা অবস্থা (অন অথবা অফ) প্রদর্শিত হয়। এই স্টেটাস বারের বাম পাশে Ready লেখা থাকলে বুঝতে হবে কার্সর সেলে আছে এবং এ অবস্থায় কাজ করা যাবে। কোন লেখা Edit করার সময় এখানে এই এডিট লেখা দেখা যাবে এবং শেষ হলে আবার রেডি মুড ফিরে আসবে।
Sheet Tab কি ?
ওয়ার্কবুক উইন্ডোর নীচে বামদিকে শীট ট্যাব। একটি ওয়ার্কবুকে সাধারণত: তিনটি ওয়ার্কশীট থাকে। যেমন : Sheet 1, Sheet 2, Sheet 3 । এছাড়াও প্রয়োজনে Insert মেনু থেকে Worksheet কমান্ড দিয়ে নতুন শীট সন্নিবেশ করা যায়। সব শীটের নীচে শীটট্যাব থাকে। যে শীটের নামের শীটট্যাবে ক্লিক করা হবে সে শীটটি চালু হবে।
ফাইল মেনুস্থ বিভিন্ন মেনুর কাজ সমূহ নিম্নরূপ :
New এর কাজ :  ফইল মেনুস্থ নিউ মেনু ব্যবহার করে বা নিউ মেনুতে কিক করে নতুন বুকশীট আনা যায়। Ctrl+N কীবোর্ড কমান্ড।
Open এর কাজ : সেভ করা ফাইল ওপেন করাই এই মেনুর কাজ। ফাইল এ ক্লিক করে ডায়ালগ বক্সে সেভ করা ফাইলটি নির্বাচন করে ওকে করলেই ফাইলটি ওপেন হবে। Ctrl+O কীবোর্ড কমান্ড।
Close এর কাজ : ফইল গুটিয়ে ফেলা।  ফাইল মেনুতে ক্লিক করে কোজ মেনুতে কিক করলে ফাইল গুটিয়ে যাবে বা কোজ হবে। যতগুলো ফাইল ওপেন করা থাকবে এক এক করে সবগুলো একই নিয়মে কোজ করতে হবে।
Save এর কাজ : ফাইল সংরণ করা। কোন ফাইল সংরণ বা সেভ করতে হলে এই মেনুতে কিক করলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে যে নামে ফাইলটি সেভ করতে চাই সে নামটি লিখে এন্টার কী কমান্ড দিয়ে ফাইল সেভ করা যায়। Ctrl+S কীবোর্ড কমান্ড।
Save As এর কাজ : একই ফাইল ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ফাইল প্রটেক্ট করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
Page Setup এর কাজ : এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মেনু। এর সাহায্যে পাতার আকার ছোট-বড়, পাতা আড়াআড়ি বা লম্বা লম্বি, পাতার মার্জিন ঠিক করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
Print Preview এর কাজ : প্রিন্টিং এর পূর্ব অবস্থা। ডকুমেন্টটি প্রিন্টিং এর অর্ডার দিলে কেমন ভাবে প্রিন্টিং হবে তা পূর্বে দেখে নেওয়ার কাজে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের লেফট বার্টন ক্লিক করে একে ওপেন এবং পুণরায় ক্লিক করে পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসা যায়।

Edit মেনুস্থ বিভিন্ন মেনুর কাজ সমূহ :

Undo এর কাজ : কোন ডকুমেন্ট বা লেখা ভূলবশত: মুছে ফেলা হলে এই Undo মেনু ব্যবহার করে তা ফিরিয়ে আনা যায়। Redo মেনু Undo এর বিপরীত কাজটি করে থাকে। অর্থাৎ Undo করার পর Redo মেনু ক্লিক করলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। Redo এর জন্য Ctrl+Z  এবং Undo এর জন্য Ctrl+ ওয়াই কীবোর্ড কমান্ড।
Cut এর কাজ : কোন লেখা এক স্থান থেকে কেটে অন্য স্থানে নিতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। Ctrl+X কীবোর্ড কমান্ড।
Copy এর কাজ : কোন লেখা বার বার ব্যবহার করতে এক স্থান থেকে কপি করে অন্য স্থানে নিতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। Ctrl+C কীবোর্ড কমান্ড।
Paste এর কাজ : কোন লেখা এক স্থান থেকে কেটে  বা কপি করে অন্য স্থানে বসাতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়। Ctrl+V কীবোর্ড কমান্ড।
Fill এর কাজ : আমরা  যদি একটি মাস, বছর অথবা দিনের নাম লিখে স্বংক্রীয়ভাবে সিরিয়াল অনুযায়ী বাকী মাস, বছর বা দিনের নাম লিখতে চাই তাহলে এই ব্যবহার করে তা করা সম্ভব।
কর্মপদ্ধতি: Edit > Fill >Seris > Auto Fill > Enter.
Clear এর কাজ : ডকুমেন্টের কোন অংশ বিশেষ মুছে ফেলা।
Replace এর কাজ : শব্দ বা সংখ্যা পুণ:স্থাপন করা অর্থাৎ শব্দের পরিবর্তে শব্দ বসানো এই মেনুর কাজ।
কর্মপদ্ধতি : Ctrl+H অথবা Edit > Replace > পদর্শিত ডায়ালগ বক্সে Find what এর ডানে যে শব্দ পরিবর্তন করতে চাই সে শব্দটি লিখতে হবে এবং Replace what এর ডানে যে শব্দটি পরিবর্তন করতে চাই তা লিখতে হবে। এরপর Replace with এর ডানপর্শে যে শব্দটি বসাতে চাই সেটা লিখতে হবে তারপর Replace > Replace All >Enter.
Go To এর কাজ : এক শীট থেকে অন্য শীটে যেতে এই মেনুর সাহায্য নিয়ে সহজে যাওয়া যায়।

Insert মেনুস্থ বিভিন্ন মেনুর কাজ সমূহ :

Cells এর কাজ : সেলের কোন লেখা ডানে, বামে বা উপরে ,নীচে নেওয়ার কাজ এই মেনু ব্যবহার করে করতে হয়।
কর্মপদ্ধতি : লেখা ডানের সেলে নেওয়ার জন্য Insert > Cells > shift Cells Right এ Marking K‡i > Ok/Enter আবার লেখা বাম পাশের সেলে নেওয়ার জন্য Insert > Cells > shift Cells Left G Marking K‡i > Ok/Enter, লেখা নীচের সেলে নেওয়ার জন্য Insert > Cells > shift Cells Down G Marking K‡i > Ok/Enter, লেখা উপরের সেলে নেওয়ার জন্য Insert > Cells > shift Cells Up G Marking করে > Ok/Enter.
Rows এর কাজ : কোন লেখার ভিতরে রো বৃদ্ধি করার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : Rows  ব্লক করে > Insert > ok .
Columns এর কাজ : যদি লেখার পরে কলাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজনে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : যেখানে কলাম বৃদ্ধি করতে চাই সেখানে মাউসের পয়েন্টার রেখে Insert > Columns > ok.
Worksheet পরিবর্তনের এর কাজ :
কর্মপদ্ধতি : মনে করি আমরা ৫নং ওয়ার্কশীটে কাজ করছি এখন ৬নং শীটে যাওয়ার প্রয়োজন সেক্ষেত্রে Insert >Worksheet > ok.
Chart  এর কাজ : যদি ওয়ার্কশীটের উপর কোন লেখ চিত্র বা গ্রাফ করার প্রয়োজন হয় তখন এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : Insert > Chart >  পছন্দ মত গ্রাফ নির্বাচন করে Enter.
Comment  এর কাজ : ওয়ার্কশীটের উপর নির্দিষ্ট কোন স্থানে Marking করে টেক্স বক্স এনে কোন Comment বা বিশেষ নোট বসাতে চাই এবং তার মধ্যে কাজ করতে চাই তাহলে এই মেনু ব্যবহার করে তা করা যাবে।
কর্মপদ্ধতি : Insert > Comment  এরপর বক্সটিকে প্রয়োজন মত ছোট বড় করে প্রয়োজনীয় নোট লিখে Enter.
Picture/Clip Art  এর কাজ : Worksheetএ Picture বা ClipArt সংযোজন করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : Insert > Picture > Clip Art >ছবি নির্বাচন > Enter.
Auto Shaps  এর কাজ : ওয়ার্কশীটে কোন ডিজাইন সংযোজন করতে বা স্বাক্ষর সংযোজন করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : Insert > Picture > Auto Shaps >ডিজাইন নির্বাচন > Enter.
Word Art  এর কাজ : ওয়ার্কশীটে কোন লেখাকে ভিন্ন ভঙ্গি বা ডিজাইনে সাজাতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : Insert > Picture > Word Art >ডিজাইন নির্বাচন > Enter.
Format মেনুস্থ বিভিন্ন মেনুর কাজ সমূহ :
Cell এর কাজ : ওয়ার্কশীটের কোন সেল এ কোন সংখ্যা লেখার পর পয়েন্ট অথবা কমা ব্যবহার করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : প্রথমে সেলের লেখাগুলো ব্লক করে নিয়ে তারপর Format > Cell > Custom এ ক্লিক করে প্রয়োজন মত কমা অথবা পয়েন্ট বসানো যাবে।
Hide এর কাজ : ওয়ার্কশীটের কোন রো গোপন করতে এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : প্রথমে যে রোগুলো হিড বা গোপন করতে চাই সেগুলোকে ব্লক করে নিয়ে তারপর  Format > Row > Hide > Enter. আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে বা গোপন করা Row LuyR‡Z Format > Row > Unhide > Enter.
Colum Autofit Selection  এর কাজ : ওয়ার্কশীটে লেখার পর কোন কলামকে সংকুচিত করার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়।
কর্মপদ্ধতি : ওয়ার্কশীটে লেখার পর কোন কলামকে সংকুচিত করার জন্য প্রথমে সেই কলামগুলো ব্লক করে নিতে হবে। তারপর Format > Colum > Auto Fit Selection এ কিক করে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
Hide এর কাজ : ওয়ার্কশীটে লেখার পর যদি কোন কলামকে লুকানোর প্রয়োজন হয় তবে এই মেনু ব্যবহার করে তা করতে হবে।
কর্মপদ্ধতি : ওয়ার্কশীটে লেখার পর কোন কলামকে লুকানোর জন্য করার জন্য প্রথমে সেই কলামগুলো ব্লক করে নিতে হবে। তারপর Format > Colum > Hide এ ক্লিক করে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে। আবার লুকানো কলামকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে Format > Colum > Unhide এ ক্লিক করে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।

Wednesday, September 28, 2016

লাইভ দুর্গা পূজা ফটো ও ভিডিও দেখুন এখন অনলাইনে

কম্পিউটার জগত এর সকল পাঠক ও পাঠিকাদের জানাই দুর্গাপূজার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেছা। আর মাত্র ক'টা দিন তারপরই শুরু হতে চলেছে হিন্দু বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা -পূজা। এই পোস্টে আপনাকে এমন একটি সাইট শেয়ার করছি, যে সাইটিতে আপনারা লাইভ দুর্গা পূজা ফোটো ও ভিডিও দেখতে পাবেন। এই সাইটিতে দেখতে পাবেন বিভিন্ন দুর্গা - পূজা প্যান্ডেল, দুর্গা প্রতিমা ও দুর্গা পুজার থিম ইত্যাদি ইত্যাদি। সাইটির নাম - PujaDateTime ( পূজা ডেট টাইম) এছাড়াও দেখতে পাবেন kmdinfo.in এ।
লাইভ দুর্গা পূজা ফটো ও ভিডিও দেখুন এখন অনলাইনে

লাইভ দুর্গা পূজা দেখতে এখানে ক্লিক করুন কিংবা ভিজিট করুন www.kmdinfo.in

Tuesday, September 27, 2016

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন - Microsoft Power Point

এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম কল্পনা করা যাক যা গতিশীল দৃশ্যমান প্রেজেন্টেশন তৈরী ও গঠণ করতে পারে এবং যার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমন - রঙিন ছবি বা ইমেজ, শব্দ, সচল চিত্র বা এনিমেশন, চার্ট ও গ্রাফ। এবং যা শ্রোতাদের জন্য লিখিত বক্তব্য তৈরী করে দেবে। প্রেজেন্টেশনের প্রতিটি স্লাইড নিজ কম্পিউটারের সাহায্যে চালানো যাবে। Microsoft Power Point এগুলো সবই করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, আরও অনেক কিছুই করতে সম।
Microsoft Power Point

Microsoft PowerPoint Open -(  Microsoft PowerPoint যেভাবে ওপেন করতে হবে? )

Start > All Programs/ Programs > Microsoft PowerPoint > Enter  দিলেই ওপেন হয়ে যাবে। এছাড়াও কিবোর্ড থেকে কমান্ড তৈরী করে নিয়েও সহজে এবং দ্রুত ওপেন করা যায়।
অথবা Win+R শর্টকাট কী ব্যবহার করে RUN প্রোপার্টিস এ powerpnt লিখে Ok করেই খুলবে।

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন
 
Taitle Bar :
 Microsoft PowerPoint (xp) Windows  এর একবারে উপরে যে বরাটি রয়েছে তাকে Application Title Bar  বলা হয়। এই বারের সর্ববামে পাওয়ার পয়েন্টের নিজস্ব লগো থাকে। লগোর পরেই থাকে এ্যাপ্লিকেশ প্রোগ্রামের নাম Microsoft Powerpoint  তারপর হাইফেন (-) এবং তৃতীয় বন্ধনীর ভিতর থাকে ডকুমেন্টের নাম। নিজে কোন নাম না দেওয়া পর্যন্ত কম্পিউটার নিজস্বভাবে Microsoft Powerpoint -[presentation1]  অথবা -[presentation2] এই নামগুলো দিয়ে থাকে।
মেনু বার-
 পাওয়ার পয়েন্টে বিভিন্ন কাজ করার জন্য এখানে কয়েকটি মেনু শ্রেণীগত ভাবে অবস্থান করে। শ্রেণীগত বলার অর্থ প্রত্যেকটি মেনু আবার অনেকগুলো অপশনের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন File. Edit, View, Insert, Format, Tools, Slide show, Window, Help ইত্যাদি মেনু আছে। File মেনুতে কিক করলে New, Open, Close, Save  ইত্যাদি সহ মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মেনুবারের অনুরূপ বিভিন্ন কমান্ডের তালিকা দেখতে পাওয়া যায়। এবং এগুলোকে ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পন্ন করা হয়।
ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবার-
 ষ্ট্যন্ডার্ড টুলবারে ফাইল খোলা ও বন্ধ করাসহ মেনু বারের কাজগুলোই চিত্র যুক্ত টুলস হিসেবে দেয়া থাকে। এই চিত্রের উপর কমান্ড বা কিক করেই প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করা যায়।
ফর্মেটিং টুলবা-
 ফর্মেটিং টুলবারের সাহায্যে লেখা ফর্মেটিং করা সহ বিভিন্ন বেসিক বিষয়ে চিত্রযুক্ত টুল দেয়া থাকে।
আউট লাইন প্যান-
 স্বাভাবিক অবস্থায় এই অংশে প্রেজেন্টেশন স্লাইড নিয়ে কাজ করা হয় এবং গঠনগত দিক প্রদর্শিত হয়।
স্লাইড আইকন বক্স- এই বক্সে স্লাইডের ছোট রূপ প্রদর্শিত হয়। এতে করে সহজে স্লাইড সম্পর্কে জানা যায়।
স্লাইড প্যান- পর্দার মাঝের প্রধান অংশ; যেখানে স্লাইড নিয়ে কাজ করা হয়।
স্লাইডের নমুনা- কোন স্লাইড নির্বাচন করার পর স্লাইড প্যানে নমুনা স্লাইড প্রদর্শিত হয়।
মিনিমাইজ বার্টন- এপ্লিকেশন উইন্ডোকে টাস্কবারের একাটি বার্টনে পরিণত করে।
ম্যাক্সিমাইজ বার্টন- উইন্ডোকে বড় করে। সম্পূর্ণ স্কীন জুড়ে প্রদর্শিত হয়। উইন্ডো ম্যাক্সিমাইজ করা থাকলে রিষ্টোর বার্টন প্রদর্শিত হয়। এই রিষ্টোর বার্ট উইন্ডোকে পূর্বের আকারে নিয়ে যেতে পারে।
কোজ বার্টন - এই বার্টনে কিক করে প্রোগ্রাম উইন্ডো বন্ধ করা যায়।
ভিউ টুলবার- স্লাইডকে বিভিন্ন ভাবে দেখার জন্য কয়েকটি টুল বারে অবস্থান করে।
স্লাইড কাউন্টার- এখানে বর্তমান স্লাইডটির নম্বর প্রদর্শিত হয়।
আউট লাইন প্যান স্ক্রলবার ঃ আউটলাইন প্যানে স্ক্রল করার জন্য বারকে সামনে বা পিছনে ড্রাগ করা হয়।
ড্রয়িং টুলবার - আঁকার জন্য প্রয়োজন এমন বিভিন্ন অপশনের চিত্র।
নোটস প্যান- নরমাল মোডে থাকা অবস্থায় এই অংশে বর্তমান স্লাইড সম্পর্কে নোট লিখে রাখা যায়।
অফিস এসিসটেন্ট -
পাওয়ার পয়েন্টে কাজের সময় বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য অফিস এসিসটেন্ট একটি উপযুক্ত টুল। যখনই কোন সাহায্যের প্রয়োজন হবে সঙ্গে সঙ্গে অফিস এসিসটেন্ট এর উপযুক্ত বক্সে প্রশ্নটি টাইপ করে সার্চ করলে সমাধান পাওয়া যায়।
উইন্ডোতে যদি অফিস এসিসটেন্ট দেখতে না পাওয়া যায় তাহলে Help > Office Assistant এ মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করলে অফিস এসিসটেন্ট পাওয়া যাবে
 এরপর অফিস এসিসটেন্টের উপর কিক করলে প্রশ্ন লেখার বক্স আসবে যার উপরে লেখা থাকবে What I would you like to do ? এবার বক্সে নিজের প্রশ্নটি টাইপ করতে হবে। যেমন  লেখা যেতে পারে What is new in powerpoint  অথবা শুধু প্রশ্নের জন্য প্রয়োজনীয় মূল শব্দটি টাইপ করলেও চলবে যেমন  ঘবি এরপর সার্চ বার্টনে কিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নটি যদি কম্পিউটারের কাছে বোধগম্য হয় তবে উত্তরসহ একটি মেনু ওপেন হবে।

টেক্স লে-আউট স্লাইড তৈরীর প্রক্রিয়া-

কর্মপদ্ধতি - ১
মেনুবার থেকে Insert > New Slide অপশনে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করতে হবে।
কর্মপদ্ধতি - ২
এই টাস্ক প্যানে ডিফল্ট হিসেবে দেয়া সকল লে-আউট দেখা যাবে। সব ধরনের লে আউট টাইপ দেবার জন্যে টাস্ক প্যানের স্ক্রলবক্সে মাউস পয়েন্টার চেপে ধরে উপর থেকে নীচে ধীরে ধীরে ড্রাগ করতে হবে।
কর্মপদ্ধতি- ৩
 যে লে-আউটটি পছন্দ হবে তার উপর মাউসের ক্লিক করলে লে-আউট স্লাইড প্যানে প্রদর্শিত হবে।
প্লেস হোল্ডারে লেখার নিয়ম বা প্রক্রিয়া-
 টাইটেল প্লেস হোল্ডারে লেখার জন্য ঐ প্লেস হোল্ডারে কিক করতে হবে। ফলে Click to add title লেখাটি অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং কার্সর দেখা যাবে। এবার কী বোর্ড থেকে কাঙ্খিত লেখাটি টাইপ করতে হবে। এবং লেখা সম্পাদনা করার জন্য ব্যবহার করতে হবে। লেখা শেষ হলে প্লেস হোল্ডারের বাইরে মাউসের কিক করলে কাজটি সম্পন্ন হবে। একই ভাবে অন্যান্য প্লেস হোল্ডারে কিক করে লিখতে হবে।
টেক্স এর বানান পরীা করার প্রক্রিয়া-
স্পেইলিং চেকার-এ কিক করলে বা স্পেইলিং চেকারকে নিরীক্ষার আদেশ দিলে প্রেজেন্টেশনের সকল প্রেসহোল্ডারের লেখাকে একে এক পরীক্ষা করতে থাকবে এবং যে স্থানে লিখিত শব্দটিকে তার অভিধানে খুঁজে পাবে না সেখানে নিরীক্ষা বন্ধ করে থেমে গিয়ে বানান শুদ্ধ করার জন্য ডায়াগ বক্স ওপেন করে বার্তা পাঠাবে।
শব্দের ভূল বানান শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া-
লেখার নীচে তরঙ্গের ন্যায় লাল দাগ টানা আছে এমন একটি শব্দের উপর মাউসের পয়েন্টার স্থির করে মাউসের ডান বার্টন ক্লিক করলে সম্ভাব্য এক বা একাধিক শুদ্ধ বানানসহ একটি লিষ্ট আসবে। সম্ভাব্য শুদ্ধ বানানের লিষ্ট থেকে সঠিক শব্দটি নির্বাচন করে তাতে কিক করলে বানান আপনা আপনি শুদ্ধ হয়ে যাবে।
সম্পূর্ণ প্রেজেন্টেশনের বানান পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া-
প্রেজেন্টেশনটি খোলা অবস্থায় মেনুবার থেকে Tools > spelling  অপশনে মাউসের কিক করতে হবে। যদি শব্দটির বানান ঠিক থাকে তবে Ignore  বা Ingore All বার্টনে ক্লিক করতে হবে। ভুল বানানের জন্য Suggestions বক্সে সম্ভাব্য শুদ্ধ বানান তালিকা থেকে সঠিক বানানটি নির্বাচন করে কিক এবং পরিবর্তনের জন্য Change বা Change All বার্টনে কিক করতে হবে। তাহলে কাজটি সম্পন্ন হবে।
কাষ্টমস এনিমেশন-
কোন টেক্স তৈরীর পর  Effect, Sound, Timing  অপশন থেকে অপশন সিলেক্ট করে নিতে হয়।
নতুন স্লাইড-
নতুন স্লাইড নেওয়ার জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
স্লাইড শো করার প্রক্রিয়া-
সমস্ত স্লাইড সম্পাদন করার পর স্ক্রীনে দেখার অপশন ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া অন্যান্য অরগুলো সাজানো, লেখা, রং পরিবর্তন ওয়ার্ড আর্ট, গ্রাফিক্স সবকিছুর ব্যবহার MS Word এর মতোই।

Monday, September 26, 2016

মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড - এম এস ওয়ার্ড প্রসেসিং - Microsoft Word

ওয়ার্ড প্রসেসিং ( Microsoft Word) Part 1:

MS-Word:  Microsoft Word হল একটি  এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারের নাম। আমেরিকার বিখ্যাত মাই ক্রোসফ্ট কর্পোরেশন কর্তৃক বাজারজাতকৃত Microsoft Word -কে সংক্ষেপে MS-Word বলে। তা Windows -এর অধীনে একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং প্যাকেজ প্রোগ্রাম। MS-Word দিয়ে লেখালেখির যাবতীয় কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের Drawing -এর কাজ করা যায় । যে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিটারে লেখা লেখির কাজ করা হয় তাকেই Microsoft Word  বলে।
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড

Microsoft Word  প্রোগ্রাম ওপেন করার নিয়ম

Start Menu তে কিক করে তারপরAll Programs-এ কিক করলে অনেকগুলো অপশনের নাম আসবে। অর্থাৎ কম্পিউটারের যে সব এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারগুলো দেওয়া আছে তা দেখাবে। এখান থেকে Microsoft Word এর উপর কিক করতে হবে তাহলে পর্দায় লেখার উপযোগি একটি সাদা পাতা প্রদর্শিত হবে। এছাড়া উইন্ডোজের উপরের অংশে ডান কোনায় শর্টকার্ট মেনু থেকে Word এর আইকনে ক্লিক করেও ওপেন করা যায়( যদি শর্টকার্ট বার বা মেনু ইনষ্টল করা থাকে)। এছাড়া কী বোর্ড শর্টকার্ট তৈরী করে নেয়া যায় এবং তা ব্যবহার করে দ্রুত ওপেন করা যায়।

এটিও পড়ুন - কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভালো রাখার টিপস, Latest Update 


এম. এস- ওয়ার্ড চালুকরন How To Open Microsoft Word?

প্রথমেই Start Menu তে ক্লিক অথবা Keyboard থেকে Win Key তে ক্লিক করি।
All Programs > Programs > Microsoft Word ক্লিক করি
অথবা - Win+R এর পর Run কমান্ডে winword লিখে Enter চাপুন.।

Microsoft Word   প্রোগ্রাম বন্ধ করার নিয়ম

Microsoft Word  প্রোগ্রাম বন্ধ করার বিভিন্ন নিয়ম বা পদ্ধতি আছে। প্রথমত: মেনু বারের ফাইল মেনুতে ক্লিক করে মেনুস্থ Exit লেখা অপশনে কিক করবো এ ক্ষেত্রে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে এবং এই বক্সের লেখাটি জানতে চায় ফাইল বন্ধ করার পূর্বে আমরা ডকুমেন্ট সেভ পরিবর্তন করবো কিনা। এর ঠিক নীচে Yes/ No দু’টো অপশন থাকবে, এর যে কোনটি চাপলে অর্থাৎ সেভ পরিবর্তন করতে চাইলে Yes আর পরিবর্তন করতে না চাইলে No তে ক্লিক করলে প্রোগ্রাম ফাইল বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও টাইটেল বারের ডান পাশের  প্রতীকের উপর কিক করেও প্রোগ্রাম বন্ধ করা যায়।

Title Bar (টাইটেল বার)

Microsoft Word সহ উইন্ডোজের যে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে পর্দার একেবারে উপরে আড়াআড়ি যে লম্বা লাইন দেখা যায় এবং যাতে চলতি প্রোগ্রামের নাম লেখা দেখা যায় তাকে টাইটেল বার বলা হয়। এছাড়া এই বারের একেবারে ডান পাশে   এ ধরনের প্রতীক বিশিষ্ট আরও তিনটি অপশন থাকে যেমন,  মিনিমাইজ,  ম্যাক্সিমাইজ ও  কোজ বক্স। মিনিমাইজ বক্স এ মাউসের ক্লিক করলে চলতি প্রোগ্রামটি উইন্ডোজের নিচে ষ্ট্যাট মেনু বারে চালু অবস্থায় মিনিমাইজ হয়ে থাকবে আবার নিচের সঞ্চিত ঐ বক্সে ক্লিক করলে পুণরায় তা পর্দায় ভেসে উঠবে। ম্যাক্সিমাইজ বক্স এ মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে পাতা ছোট বড় করা যায়। ক্লোজ বক্স এ কিক করে ডকুমেন্ট ক্লোজ করা যায়।

Menu Bar ( মেনু বার)

টাইটেল বারের নীচে একটি লম্বা লাইন বা বার থাকে, যেখানে File, Edit, View, Insert, Format, Tools, Table, Window, Help লেখা বার বা লাইনকে Menu Bar বলে। মেনুর নামের উপর মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি ওপেন হবে। ওপেন হওয়া মেনু বক্সকে পলডাউন মেনু বলে।
File :
File নামের মেনুতে ক্লিক করে New, Open, Close, Save, Save as, Save as web page, Page setup, Print Preview, Print, Exit ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।

New: New এর উপর মাউসের ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+N চেপে কমান্ড দিলে নতুন ডকুমেন্ট পাতা খুলবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী করা যাবে।
Open: Open মেনুতে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+O কমান্ড দিয়ে সেভ করা ফাইল দেখা ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যাবে।
Close:  Close মেনুতে ক্লিক করে ফাইল বন্ধ করা যায়।
Save: Save মেনুতে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+S কমান্ড দিয়ে ফাইল সেভ করা যায়। কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট সেভ করতে কমান্ড দিলে একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে সেখানে জানতে চাইবে ফাইলটি কি নামে সেভ হবে। এক্ষেত্রে নাম সিলেক্ট করে দিয়ে সেভ করতে হবে।
Save as:  Save as   মেনুতে কিক করে ফাইল প্রটেক্ট করা যায়। এছাড়া  Save as web page মেনুতে ফাইলটি ওয়েভ পেজের জন্য সেভ করা যায়।
Page Setup: Page setup মেনুতে ক্লিক করে পাতার সাইজ, স্কেল ইত্যাদি পরিমাপ করে নেয়া যায়।
Print Preview: Print Preview মেনুতে কিক করে ডকুমেন্টটি প্রিন্টিং করা হলে কি আকারে প্রিন্ট হবে তা দেখা যায়।
Print: Print মেনুতে কিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Ctrl+P কমান্ড দিয়ে ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করা যায়।
Exit: Exit মেনুতে ক্লিক করে ফাইল বা ডকুমেন্ট কোজ করা যায়।

Edit Menu :

Edit নামের মেনুতে ক্লিক করে Undo Typing, Repeat typing, Cut, Copy, Paste, Clear, Select All, Find, Replace, Go to ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Undo: Undo Typing : কোন ডকুমেন্ট মুছে ফেলার পর পুণরায় ফেরত পেতে সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+Z কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Redo: Repeat Typing/Redo : মুছে ফেলা কোন ডকুমেন্ট পুণরায় ফেরত পেতে সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+Y কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Cut: Cut : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ Cut করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+X কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Copy: Copy : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ Copy :করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+C কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Paste: Paste : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কপি করে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য সাধারণত: এই Paste মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+V কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Clear: Clear : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মুছে ফেলার জন্য সাধারণত: এই Clear মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে কাজটি করা যায়।
--> Select All:  Select All : কোন ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মুছে ফেলার জন্য বা অন্য কোথাও স্থানান্তর বা বিশেষ কোন কাজ করতে চাই তাহলে এই Select All  মেনু ব্যবহার করে তা করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে অথবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+A কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Find:  কোন ডকুমেন্ট এর ভিতরের কোন শব্দ বা অর খুঁজতে এই Find মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে Find মেনুতে কিক করে ডায়ালগ বক্সে কি খুজতে চাই তা লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Replace :  কোন ডকুমেন্ট এর ভিতরের কোন শব্দ বা অর পরিবর্তন করতে বা নতুন কোন শব্দ বা অর সংযোজন করতে এই Replace মেনু ব্যবহার করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Replace  মেনুতে কিক করে ডায়ালগ বক্সে যে শব্দটি পরিবর্তন করতে চাই তা লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।
--> Go to : অনেক গুলো পাতার ডকুমেন্ট এ এক পাতা থেকে অন্য পাতায় দ্রুত যেতে এই Go to  মেনু ব্যবহার করে তা করা হয়। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করে ডায়ালগ বক্সে পাতা নং লিখে কমান্ড দিয়ে কাজটি করা যায়।

View Menu :
View নামের মেনুতে কিক করে Normal, Web Layout, Print Layout, Outline, Ruler, Document Map, Header and Footer, Ful Acreen, Zoom ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Normal : Outline Page Layout পর্দায় উপস্থিত থাকলে তা পরিবর্তন করতে বা স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Normal মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Web Layout : পর্দার চারপাশে মার্জিন তৈরী করতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Web Layout  মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Print Layout : পর্দায় Print Layout  অবস্থানে আনতে বা দেখতে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে Print Layout :মেনুতে কিক করে কাজটি করা যায়।
--> Outline : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজের প্রতিটি লাইনে বিশেষ কোন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করতে চাই তাহলে এই মেনুতে মাউসের পয়েন্টার নিয়ে কিক করলে ডকুমেন্টের প্রতিটি লাইনে বিশেষ চিহ্ন চলে আসবে।
--> Ruler : ডকুমেন্ট পেজের পাশে Ruler  আনতে চাইলে এই মেনুতে কিক করে তা করা যাবে। আবার Ruler  অদৃশ্য করতে হলে পুণরায় জঁষবৎ মেনুতে কিক করলে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে।
--> Document Map : ডকুমেন্ট পেজটিকে আমরা যদি Document Map আকারে দেখতে চাই তাহলে এই Document Map : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে।
--> Header and Footer : ডকুমেন্ট পেজের উপরে অংশকে Header এবং নীচের অংশকে Footer : বলে। আমরা যদি Document Page এর প্রতি পাতার উপরে অথবা নীচে কিংবা উপর নীচ উভয় অংশে বিশেষ কোন নির্দেশনা লিখতে চাই তাহলে এই Header and Footer মেনুতে কিক করে বিশেষ নির্দেশনা লিখে ওকে করলে প্রতিটি পাতায় তা প্রদর্শিত হবে।
--> Ful Acreen : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজকে পর্দায় সম্পূর্ণ রূপে প্রদর্শন করতে চাই সে ক্ষেত্রে এই Ful Acreen : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে। এবং পূর্ব অবস্থায় বা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কোজ এ কিক করে তা করা যাবে।
--> Zoom : আমরা যদি ডকুমেন্ট পেজকে পর্দায় ছোট অথবা বড় রূপে প্রদর্শন করতে চাই সে ক্ষেত্রে এই  Zoom : মেনুতে কিক করে তা করা যাবে।
Insert Menu :
Insert নামের মেনুতে কিক করে  Break, Page Number, Date and Time, Field, Symbol, Comment, Footnot, Picture, Word Art, Auto Shapes, Tex Box ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট,আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Break :   কোন ডকুমেন্ট পেজ সম্পূর্ণ  বা কোন প্যারাগ্রাফ ব্রেক করে নতুন পাতা বা কলাম সৃষ্টি করতে এই Break :  মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়।
--> Page Number :   কোন ডকুমেন্ট এর প্রতি পাতায় স্বয়ংক্রীয় ভাবে পাতা নং দিতে চাইলে এই  Page Number   মেনু ব্যবহার করে প্রতিটি পাতায় Page Number  করা যায়।
--> Date and Time:   কোন ডকুমেন্ট এ স্বয়ংক্রীয় ভাবে Date and Time  সংযোজন করতে হলে এই Date and Time মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়।
--> Field:   কোন ডকুমেন্ট এ পূর্ণ সংখ্যা লিখতে হলে এই Field:  মেনু ব্যবহার করে তা করা যায়। Field:  এ কিক করে ডায়ালগ বক্স থেকে Eqation and Formula ব্যবহার করে পূর্ণ সংখ্যা লিখতে হয়।
--> Symbol :   কোন ডকুমেন্ট এ কোন বিশেষ প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করতে চাই তাহলে এই Symbol মেনুতে কিক করে Symbol  নির্বাচন করে ওকে  করলে Symbol  টি ডকুমেন্টের সাথে সংযুক্ত হবে এবং ক্লোজ বাটন ক্লিক করে শেষ করতে হবে।
--> Comment :   আমরা যদি কোন ওয়ার্ড সম্পর্কে কোন মন্তব্য বা Comment  লিখতে চাই তা হলে তাহলে এই Comment মেনুতে কিক করে নির্ধারিত মন্তব্য লিখে ওকে  করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Footnot :   আমরা যদি কোন পাতার শেষে বা ডকুমেন্টের শেষে কোন মন্তব্য বা Footnot  লিখতে চাই তা হলে তাহলে এই Footnot  মেনুতে কিক করে নির্ধারিত মন্তব্য লিখে ঙশ  করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Picture :   আমরা যদি কোন ডকুমেন্ট এ কোন ছবি সংযোজন করতে চাই তা হলে তাহলে এই  Picture  মেনুতে কিক করে নির্ধারিত Picture   সিলেক্ট করে ওকে  করে ডায়ালগ বক্স কোজ করলে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Word Art :   আমরা যদি কোন ডকুমেন্ট এ কোন বিশেষ অংশকে ভিন্ন ভিন্ন ষ্টাইলে লিখতে বা সাজাতে চাই  তা হলে তাহলে এই Word Art  মেনুতে কিক করে Word Art Galary থেকে  নির্ধারিত Word Art সিলেক্ট করে ওকে  করে কাজটি হয়ে যাবে।
--> Auto Shapes :  Insert >Picture > Auto Shapes এখন ডকুমেন্ট এ যে সেফ সংযোজন করতে চাই তার উপর মাউসের কিক করে অর্থা
 ড্রাগ করে তা অংকন করা যাবে বা কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
--> Text Box: Text Box   লেখার বক্স। আমরা যদি কোন Document এ কোন বিশেষ অংশকে ভিন্ন ভিন্ন ষ্টাইলে লিখতে বা সাজাতে চাই তা হলে তাহলে এই Text Box মেনুতে কিক করলে একটি Text Box পর্দায় আসবে যার ভিতরে হামেশা লেখা যাবে।

--> Format Menu :
Format নামের মেনুতে কিক করে Font, Paragraph, Tabs, Border and Shading, Change Case, Drop Cap, Bullets and Numbering, Style Gallery, Style, Background, Columns ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Font : Font   বা অক্ষর। এই মেনু ব্যবহার করে আমরা কোন ডকুমেন্ট এ ইরেজী অথবা বাংলার বিভিন্ন ষ্টাইলের  লেখার অর নির্বাচন করে নিতে পারি।
--> Under Line : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশের নীচে দাগ দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font >           Under Line > Ok   অথবা কীবোর্ডের Ctrl + U কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Bold : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশের রং গাড় করে দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font > Bold        > Ok   অথবা কীবোর্ডের Ctrl + B কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
-->  Italic : ডকুমেন্টের কোন বিশেষ অংশ অথবা সম্পূর্ণ অংশ ইটালিক করে দেওয়ার জন্য এই মেনু ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার পদ্ধতি Format > Font > Italic > Ok   অথবা কীবোর্ডের Ctrl + I কমান্ড দিয়ে কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Font Size : আমরা যদি আমাদের লেখার অরগুলোকে ছোট অথবা বড় আকারে লিখতে চাই তাহলে এই মেনু ব্যবহার করে তা করা যাবে। ব্যবহার পদ্ধতি অক্ষর ব্লক করে নিয়ে Format > Font > Font Size > Ok অথবা অক্ষর ব্লক করে নিয়ে কীবোর্ডের Ctrl + ] কমান্ড দিয়ে অক্ষর বড় এবং  Ctrl + [ কমান্ড দিয়ে অক্ষর ছোট করার কাজটি সহজেই করা যায়।
--> Paragraph : এই Paragraph মেনু ব্যবহার করে আমরা কোন ডকুমেন্টে লাইন স্পেজ ছোট বড় সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারি।
--> Tabs : আমরা যদি ডকুমেন্ট এ Tabs  সেট করতে চাই তাহলে এই Tabs  মেনু ব্যবহার করে  কাজ করতে পারি।
--> Border and Shading : আমরা যদি আমাদের তৈরী কৃত কোন আর্ট বা Document এ অথবা পাতার চার পাশে Border অথবা Shado বা ছায়া সেট করতে চাই তাহলে এই Border and Shading মেনু ব্যবহার করে  কাজ করতে পারি।
--> Change Case : আমরা যদি আমাদের তৈরী কৃত কোন Document এ লেখার ষ্টাইল ছোট হাতের বা বড় হাতের লেখা করতে চাই তাহলে Change Case   মেনুস্থ Upper Case  অথবা Lower Case মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে। আবার যদি শব্দের প্রথম অর ছোট বা বড় করতে Title Case ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
--> Drop Cap : কোন Document এর প্রথম অর বড় করতে হলে Drop Cap  মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে। অথচ ডকুমেন্টের লাইন স্পেস ঠিক থাকবে।
--> Bullets and Numbering : কোন Document এর Page Numbering করতে হলে Bullets and Numbering  মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।

--> Background : কোন  Document এর Page Background রঙিন করতে হলে Background মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Columns : কোন Document কে Columns  হিসেবে প্রকাশ করতে চাইলে Columns  মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।

--> Tools  : Tools নামের মেনুতে কিক করে Spelling and Grammar, Word Count, Auto Correct, Mail Merge, Macro ইত্যাদি মেনু ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, আর্ট তৈরী ও কাজ করা যায়।
--> Spelling and Grammar : কোন Document এর ভিতরে কোন বানান শুদ্ধ করতে Spelling and Grammar মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Word Count : শব্দ গননা আমরা যদি Document এর শব্দ গননা করতে চাই তা হলে এই Word Count  মেনু  ব্যবহার করে কাজটি করা যাবে।
--> Auto Correct : Document  তৈরী করা বা লেখার সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভূল সংশোধন করতে
Auto Correct মেনু  ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Window Menu :
 Window  নামের মেনুকে ব্যবহার করে New Window, Arrange All, Split  এর কাজ করা যায়।
--> New Window: এমএস ওয়ার্ডে একসাথে একাধিক ডকুমেন্ট-এ কাজ করলে উক্ত ডকুমেন্ট তালিকা  New Window  তে জমা রাখা এবং এখান থেকে কোন ডকুমেন্ট বা ফাইল ওপেন করা যায়।
     --> ব্যবহার পদ্ধতি : Window > New Window > নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট/ ফাইল এ কিক করে কাজটি করা যায়।
     --> Arrange All:  এমএস ওয়ার্ডে একসাথে একাধিক বা যতগুলো ডকুমেন্ট ওপেন থাকবে তা একসাথে দেখা যাবে।
     ---> ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Arrange All এ কিক করে কাজটি করা যায়।
    -->  Split : এমএস ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট পেজ কে দুই ভাগে ভাগ করা।
 ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Split  এ কিক করে মাউসের পয়েন্টার যেখানে কিক করা হবে পেজটি সেখান থেকে বিভক্ত হয়ে যাবে।
--> Remove Split : এমএস ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট পেজ কে দুই ভাগে ভাগ করা পদ্ধতি অর্থাৎ Split  উঠিয়ে দেয়া।
     ব্যবহার পদ্ধতি : Window > Remove Split  এ কিক করে কাজটি সহজে করা যাবে।

স্টান্ডার্ড টুলবার:

মেনুবারের নীচে বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত বারকে স্টান্ডার্ড টুলবার বলে। প্রতিটি প্রতীক বা আইকনকে এক একটি টুল বলা হয়। মেনু সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় কমান্ড না দিয়ে সরাসরি টুলবারের আইকন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করা যায়। এতে সময়ও কম লাগে।

 টেক্স ফর্মেটিং টুলবার:

টুলবারের নীচের সারিতে বিদ্যমান বারটিই  টেক্স ফর্মেটিং টুলবার। এতে বিদ্যমান অপশনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করে ফন্ট পরিবর্তন, ফন্ট ছোট বড় করা, বোল্ড করা, আন্ডার লাইন করা, ইটালিক, এলাইনমেন্ট নির্ধরণ করা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।

রুলার:

ফর্মেটিং টুলবারের নীচে স্কেল এর ন্যায় বারকে রুলার বলে। রুলার বিভিন্ন পরিমাপের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।

স্ট্যাটাস বার :

পর্দার একেবারে নীচে Page-1, see, At  ইত্যাদি লেখা বারকে স্ট্যাটাস বার বলে। Page-১ দ্বারা কার্সর ১ নং পাতায় আছে বোঝাচ্ছে।
 ড্রইং বার
স্ট্যাটাস বার এর উপরে Draw, Autoshapes  ইত্যাদি লেখা সহ বেশ কিছু সংখ্যক আইকন সম্বলিত বারকে ড্রইং বার বলে। বিভিন্ন ড্রইং এর কাজ সহজ করতে এই বারের প্রয়োজনীয় আইকন ব্যবহার করা হয়।

স্ক্রল বার

পর্দার নীচে ডানে ও বামে  এবং পর্দার ডান পাশে উপরে ও নীচে ছোট তীর চিহ্নিত মধ্যবর্তী বারকে স্ক্রল বার বলে। এর সাহায্যে লেখার সীট বা চলতি প্রোগ্রামকে ঊপরে- নীচে ও ডানে- বামে সরানো যায়।

মাউস পয়েন্টার

কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত অনেকটা ইঁদুরের মত দেখতে ডিভাইসটির নাম মাউস। কম্পিউটার ওপেন করলেই পর্দার উপর একটি এ্যরো বা তীর চিহ্নিত  দেখা যায়। মাউস নাড়ালে তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে। কম্পিউটারের ভাষায় এই এ্যারো বা তীর চিহ্ন কে মাউসের পয়েন্টার বলা হয়। একে ব্যবহার করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড করা হয়। মাউসের পয়েন্টার সব সময় এ্যারো চিহ্নের মত দেখায় না কার্যেক্ষেত্রে ইহা বিভিন্ন আকৃতি ধারন করে।

ক্লিক করা

মাউসের বাম অথবা ডান পাশের বোতাম চেপে কমান্ড করাকে কিক করা বলে। একবার চাপলে সিঙ্গেল কিক, দুইবার চাপলে ডবল কিক বলে।

ড্রাগ করা

ড্রাগ করা অর্থ হলো কিক করে মাউসের বোতাম চেপে রেখে উপরে – নীচে, ডানে-বামে বা প্রয়োজন মত স্থানে ছেড়ে দেওযাকে ড্রাগ করা বা মুভ করা বলে।

কন্ট্রোল বক্স

টাইটেল বারের বাম পাশে W চিহ্নিত আইকন বা চিত্রকে কন্ট্রোল বক্স বলে। সরাসরি এটার উপর কিক করে বা Alt+Spacebar  চাপলে একটি মেনু ওপেন হয়। এ মেনুকে কন্ট্রোল মেনু বলে। এ মেনুস্থ বিভিন্ন অপশনসমূহ নির্বাচন করে পর্দায় উইন্ডো প্রদর্শন নিয়ন্ত্রন করা যায়। যেমন ঃ
Restore : নির্বাচন করলে ইতিপূর্বে কোন পরিবর্তন করে থাকলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
Move :  নির্বাচন করে  F1 কী চেপে মাউস পয়েন্টার মুভ করায়ে উইন্ডো স্থানাস্তর করা যায়।
Size : নির্বাচন করে উইন্ডোর বর্ডার লাইনের মাঝে মাউস পয়েন্টার নিয়ে চেপে ধরে বাড়িয়ে বা কমিয়ে বক্সে একবার কিক করলে কন্ট্রোল মেনু ওপেন হবে কিন্তু ডবল কিক করলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
Control Toolbox   (কন্ট্রোল টুল বক্স)
মেনু বারের View মেনুস্থ Toolbars এর মধ্যে প্রবেশ করে Control Toolbox এ টিক দিয়ে ওকে  করলে পর্দার বামপাশে একটি বক্স চলে আসবে কম্পিউটারের ভাষায় এটাকে Control Toolbox বলে।
ব্যবহার পদ্ধতি : Menu Bar > View > Toolbars > Control Toolbox > Ok
Dialog Box :
উইন্ডোজে বিভিন্ন মেনুস্থ অপশন সিলেক্ট করলে পর্দায় বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত একটি বক্স প্রদর্শিত হয়, কম্পিউটারের ভাষায় উহাই ডায়ালগ বক্স নামে পরিচিত। কোন কাজের জন্য উইন্ডোজে বাড়তি কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে ডায়ালগ বক্স ওপেন হয়। ডায়ালগ বক্সে বিভিন্ন অপশনে মাউস পয়েন্টার নিয়ে কিক করে অথবা ট্যাব কী চেপে কোন অপশনে গিয়ে এন্টার কী চাপলে অপশনটি কার্যকর হয়। কোন অপশনের নামের কোন অর আন্ডার লাইন করা থাকলে Alt কী চেপে ধরে এ অরটি চাপলে অপশনটি কার্যকর হবে।

Saturday, September 24, 2016

কম্পিউটারের কী বোর্ড 'র পরিচিতি - কী বোর্ড টিপস - Keyboard

কম্পিউটারের কী বোর্ড (Keyboard) কি তা আগের পোস্টে বিস্তারিত আলচনা করা হয়েছে, আপনাদের সুবিধার জন্য সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হল- কী বোর্ড হল একটি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস। কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগ রা করাই হচ্ছে ইনপুট ডিভাইসের কাজ। যে কোন ধরনের ডাটাকে বাইনারী ইক্ট্রোনিক্স সিগন্যাল ( জিরো এবং ওয়ান) এ পরিণত করে সিপিইউ-এ পাঠানো হয়। কারণ সিপিইউ এই (০, ১) ছাড়া অন্য কোন কিছু বুঝতে পারে না।
কম্পিউটারের কী বোর্ড 'র পরিচিতি
 

কী-বোর্ড পরিচিতি-

কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০২টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) ফাংশন কী।
(২) অ্যারো কী।
(৩) আলফা বেটিক কী।
(৪) নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী।
(৫) বিশেষ কী।

ফাংশন কী (Function Key)

কী বোর্ডের উপরের দিকে বাম পার্শ্বে F1  থেকে F12  পর্যন্ত যে কী গুলো আছে এদরকে ফাংশন কী বলে। কোন নির্দিষ্ট কাজ করা যায় বলে একে ফাংশন কী বলে। যেমন কোন প্রোগ্রামের জন্য help, অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কী এর ব্যবহার করা হয়।

অ্যারো কী (Arrow Key)

কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে। কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নীচে সরানো যায়। এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে। কারণ টেক্স এডিট করার কাজেও এ কীগুলো ব্যবহার করা হয়।

আলফা বেটিক কী (Alpha Numeric key)

কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজী বর্ণমালা A  খেকে Z পর্যন্ত অরগুলো সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে।

নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী (Numeric / logical Key)

কীবোর্ডের ডানদিকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে। এখানে +, -,  *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে। এছাড়াও  <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে।

বিশেষ কী (Special Key)

উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহ কোন না কোন  বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে  এদেরকে বিশেষ কী বলা হয়। নিম্নে বিশেষ কী সমূহ সম্পর্কে সংপ্তি বর্ণনা দেওয়া হলো।

Esc : এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করতে হয়।

Tab :  পর্দায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
Caps Lock : এই কী ব্যবহার করে ইংরেজী ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।

Shift : একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট অর টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। যেমন : Dhaka, Khulna শব্দ দু’টি লিখতে প্রথম অরে শিফ্ট কী চেপে ধরে এবং পরের অর গুলো শিফ্ট কী ছেড়ে দিয়ে লিখতে হবে। আর বাংলা অর বা বর্ণমালা লেখার েেত্র অর বিন্যাস্ত কী এর উপরের ও নীচের লেখা টাইপের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিফ্ট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।

Ctrl : এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।

Alt : বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরী করা যায়।

Enter : কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার হয়। লেখা লেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরী করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়।

Pause Break : কম্পিউটারে কোন লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।

Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কছিু থাকে তা সব প্রিন্ট করত চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।

Delete : কোন বাক্য, অর বা কোন লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।

Home : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে পাতার প্রথমে আনা হয়।

End : এই কী চাপলে কার্সার বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্স বা পাতার শেষে চলে আসবে।

Page Up : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে উপরের দিকে উঠানো হয়।

Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে নীচের দিকে নামানো হয়।
Insert :  কোন লেখার মাঝে কোন কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

 Back Space : কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।

 Space Bar : কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোন বাক্য লেখার সময় শব্দ গুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।

 Num Look : এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়।

এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে আরও ৪ টি কী থাকে যেমন ঃ
 Stand by Mood : এই কী চেপে রাখলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে।

 Mail key : এই কী চেপে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো যায়। তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে।

 Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করা যায়। এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।

 Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যায়।